ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ডুলাহাজারায় ইজারাদারের অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব: ক্ষতিগ্রস্থ জমি মালিকেরা

চকরিয়া প্রতিনিধি :

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বগাচতর মৌজার ছড়ায় বালু মহাল ইজারাদারের বেপরোয়াভাবে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এমন অভিযোগে ছড়ার লাগোয়া ক্ষতিগ্রস্থ ভূক্তভোগী জমির মালিকদের।

জমির মালিকদের মধ্যে এনামুল হক গংয়ের ওয়ারিশ তৌহিদুল ইসলাম চৌং সাজ্জাদ জানান, বগাচতর ছড়ার পাশে আমার ও আমাদের ১শত একরের অধিক আবাদী জমি আছে। যার বি.এস খতিয়ান নং- ৩২,৩৩,৩৪,৩৫ ও ৩৬ আন্দর দাগ। বর্তমানে বালু মহাল ইজারাদারেরা উক্ত ছড়া থেকে বালু উত্তোলনকালে ছড়ার সাথে লাগোয়া আমার আবাদী ফসলি জমি খনন করে ছড়ার পানির সাথে মিশ্রিত করে বালু উত্তোলন করায়, ছড়া থেকে জমির উচ্চতা প্রায় ১৩ ফুটের অধিক হওয়াতে চলতি মৌসূমে চাষ করতে পারিনি। এমন অভিযোগ বালু মহাল কমিটিকে জানালে উল্টো তাহা আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। তবুও আমি জমি অনাবাদী হওয়াতে উক্ত জমির মাটি খনন করে পাগলির বিল মসজিদ ও কবরস্থান ভরাটে দান করেছি। পাশাপাশি কিছু মাটিও আমার বসতভিটা ভরাটের জন্য আনতে গেলে উক্ত বালু মহাল কমিটি আমার কাছ থেকে প্রতি গাড়িতে ৩/৪শত টাকা করে দাবী করে। কিন্তু তাহারা যে আমার ফসলি জমি খনন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি চকরিয়া উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকে নিজে গিয়ে অবগত এবং বালু মহাল কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে এসেছি। কেননা সরকার ছড়ার বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দিয়েছেন, তবে খতিয়ানভূক্ত জমি খনন করে পানির সাথে মিশিয়ে বালু উত্তোলন অনুমতি দেয়নি। এর পরেও কিভাবে তারা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ আমিসহ অন্যান্য জমির মালিকদের।

সুতরাং বালু মহাল কমিটিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়াতে যেকোন সময় যেকোন মূহুর্তে আমি ভূক্তভোগী অভিযোগকারীর সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখা বিরাজ করছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে উক্ত বিষয়ের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগীতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

পাঠকের মতামত: